শঙ্কর জাতের ক্যাঙ্গারু ও তাদের আদালত

আয়নাচিত্র নামের অদ্ভুত এক দেশে বিচার চলে পশুদের হাতে। সেখানে আদালত বলে কিছু আছে ঠিকই, কিন্তু ভেতরে ঢুকলেই দেখা যায়—বিচারকেরা সবাই ক্যাঙ্গারু, তাও আবার শঙ্কর জাতের। তারা একসঙ্গে লাফিয়ে ওঠে, দোষী ঘোষণা দেয়, তারপর আবার বসে চা খায়।

জনগণ একসময় বিশ্বাস করত, এই আদালত ন্যায়বিচার দেবে। এখন আর কেউ ভাবে না, কারণ সিদ্ধান্ত আগেই নির্ধারিত থাকে লাফের উচ্চতা দেখে। যার লাফ ছোট, তার দোষ বড়।

সবচেয়ে মজার বিষয়, এই আদালত মামলার আগে রায় লিখে রাখে, পরে শুধু ঘোষণার নাটক করে। এক বৃদ্ধ নাগরিক বললেন,

“আমরা ন্যায় চাইতে গিয়েছিলাম, পেলাম সার্কাস।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলেন, এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে কারণ ন্যায় এখন স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়েছে। যা আগে আদেশের ভাষা ছিল, এখন নাট্যমঞ্চের সংলাপ।

কিন্তু আশার খবরও আছে। তরুণেরা বলছে, “এই আদালতের বাইরে আমরা নতুন একটি স্থান তৈরি করব, যেখানে বিচার নয়, যুক্তি লাফাবে।”

অর্থাৎ, একদিন হয়তো জনগণ নিজেরাই লাফিয়ে উঠবে—ক্যাঙ্গারুর মতো নয়, নাগরিকের মতো। তবেই এই শঙ্কর প্রজাতির বিচার থামবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *