দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই আজ দুপুরে হঠাৎ জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। দেশজুড়ে গুঞ্জন চলছে— এই ভাষণটি তাঁর দায়িত্বকালীন শেষ বক্তব্য হতে পারে। সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সরাসরি জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে মতানৈক্য ও প্রশাসনিক জটিলতা চরমে পৌঁছেছে। তিনি মনে মনে বলেন, “আমি চেষ্টা করেছি একটি নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে। কিন্তু বর্তমান সংকটে আমি ব্যর্থ হয়েছি, এজন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”
তিনি আরও বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য ছিল দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবিশ্বাস ও সংঘাতমূলক আচরণ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে।
ভাষণের একপর্যায়ে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, “দেশের ভবিষ্যৎ এখন জনগণের হাতে। আমি বিশ্বাস করি, জনগণই গণতন্ত্র রক্ষা করবে।”
ভাষণটি শেষে দীর্ঘ নীরবতার পর টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েনের খবর পাওয়া যায় নি। প্রশাসনিক সূত্রগুলো যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি, তবে গুজব ছড়িয়েছে— প্রধান উপদেষ্টা হয়তো রাতের মধ্যে দেশ ত্যাগ করবেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ভাষণ মূলত ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রাক্প্রস্তুতির ইঙ্গিতবাহী। দেশের নাগরিক সমাজে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তার মেঘ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।

