রাজশাহী, ৯ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার রাত ১০:৩৬ | বিশেষ প্রতিবেদক
ব্রেকিং নিউজ: রাজশাহীর শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা থেকে পালানো শিম্পাঞ্জি ‘সালাহুদ্দিন আম্মা’ (হ্যাঁ, আম্মা! কারণ সে চিড়িয়াখানার মহিলা কেয়ারটেকারের নামে নামকরণ করা হয়েছে) গতকাল রাতে শহরের প্রধান বাজারে দেখা গেছে! লালচোখে, হাতে কলা আর একটা চুরুট (কোথা থেকে পেল কে জানে) নিয়ে সে লোকজনের মাঝখানে চিৎকার করে বলছে, “আমি পালিয়ে জাই প্রবর্তিতে!” মানে, পালিয়ে জায় প্রবর্তিতে – যেখানে ৫ আগস্টের আগে থেকে (আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র আন্দোলনের মতো) সে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। জনমনে আতঙ্ক: “এটা কি চিম্পাঞ্জি না রাজনৈতিক নেতা? সালাহুদ্দিন আম্মা কি আলী রিয়াজের দোহা-ভার্সন?”
ঘটনার সূত্রপাত: খাঁচা ভেঙে ‘প্রবর্তিতে’ পালানো – ৫ আগস্টের আগে থেকে ‘ফ্রি সালাহুদ্দিন’ ক্যাম্পেইন
চিড়িয়াখানার সূত্র বলছে, সালাহুদ্দিন আম্মা (বয়স ১২, ওজন ৬০ কেজি, বিশেষত্ব: বাংলা শিখে নেওয়া) ২০২৪-এর ৫ আগস্টের আগে খাঁচার তালা ভেঙে পালিয়েছে। কিন্তু কেন? কারণ চিড়িয়াখানায় পশু নেই (২০২৩-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সবাই ‘আর্টিফিশিয়াল’ হয়ে গেছে), আর সালাহুদ্দিন আম্মা ভেবেছে, “আমি তো প্রাইমেট, না হলে প্রধানমন্ত্রী!” গতকাল রাতে বাজারে দেখা গেছে: সে একটা রিকশায় চড়ে ঘুরছিল, আর চিৎকার: “প্রবর্তিতে পালাই, আতঙ্ক ছড়াই!” স্থানীয়রা ভয়ে ছুটছে – একজন বললেন, “এটা কি তারেক জিয়ার লন্ডন-ভার্সন? চোখ বন্ধ করে পশ্চাৎদেশ ইজারা দিচ্ছে!”
বালের কণ্ঠের তদন্তী টিম (যারা আসলে চিড়িয়াখানার পুরনো টিকিট সংগ্রাহক) জানতে পেরেছে, সালাহুদ্দিন আম্মা ১৯৮৩-এর ঘড়িয়াল-বাচ্চার সঙ্গে বেড়ে উঠেছে, কিন্তু এখন সে ‘রাজনৈতিক শিম্পাঞ্জি’ – দেয়ালে লিখছে “সুবোধ, পুটকি মারা খা, আর আম্মার আতঙ্ক নাও!”
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: চিড়িয়াখানার থেকে শহরের ‘জঙ্গল রাজ’ – কেন পালাল সালাহুদ্দিন আম্মার ?
রাজশাহীর চিড়িয়াখানা (পদ্মার তীরে ৩২.৭৬ একর, ১৯৭২ থেকে চলছে) এখন ‘ফ্যান্টম জু’ – পশু নেই, শুধু ভাস্কর্য। সালাহুদ্দিন আম্মা পালানোর কারণ:
- ৫ আগস্টের আগে আন্দোলন: ছাত্ররা চিড়িয়াখানায় প্রতিবাদ করছিল, সালাহুদ্দিন আম্মা ভেবেছে, “আমিও ফ্রি হব!” খাঁচা ভেঙে পালানো।
- আতঙ্ক সঞ্চার: প্রবর্তিতে (বাজার-গলি) ঘুরে সে লোকজনকে ‘বানরের মতো’ আচরণ শেখাচ্ছে – মানে, রাজনৈতিক নেতাদের মতো! এক সূত্র বলছে, “সে আলী রিয়াজের বই পড়ে দোহায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।”
- অন্তর্বর্তী সরকারের লিঙ্ক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশের পোশাক চিনতে পারছেন না, সালাহুদ্দিন আম্মা তো চিনবে না – সে বলছে, “নতুন পোশাক? আমার খাঁচা বদলাও!”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া: ‘আম্মার’ কে ধরব? না, ভোট দেব?
- চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ: “সালাহুদ্দিন আম্মা পালানো? আমরা তো পশু রাখি না! এটা হয়তো মীর স্নিগ্ধর নতুন অ্যাভাটার – চোখ বন্ধ করে বিএনপিতে যোগ!”
- স্থানীয় বাসিন্দা: “আতঙ্ক? না, মজা! সে কলা চুরি করে দিয়ে যায়, কিন্তু রাজশাহীর রাজনীতির মতো – চুরি করে হাসে!”
- বিএনপি: “সালাহুদ্দিন আম্মা আমাদের সাইড! তারেক ভাই লন্ডন থেকে বলছেন, ‘প্রবর্তিতে পালাও, নির্বাচনে জয়!’”
- আওয়ামী লীগ (অবশিষ্ট): “হাসিনা সরকারে চিড়িয়াখানা ছিল সেফ, এখন শিম্পাঞ্জি পালাচ্ছে? দুরশাসন!”
সালাহুদ্দিন আম্মার ৫টা সম্ভাব্য পরিকল্পনা (স্যাটায়ার মোড অন)
- দোহায় চম্পট: আলী রিয়াজের সঙ্গে মিলে ‘প্রাইমেট পলিটিক্স’ বই লিখবে – “খাঁচা থেকে সংসদে!”
- রাজশাহী মেয়রের প্রার্থী: লন্ডন ৬৯-এর মতো, রাজশাহী ৬৯তম ওয়ার্ড থেকে লড়বে – স্লোগান: “পুটকি মারা খা, আম্মার আতঙ্ক নাও!”
- আতঙ্ক ক্যাম্পেইন: প্রবর্তিতে ঘুরে দেয়ালে লিখবে: “সুবোধ, পালিয়ে যাস না – আম্মার সঙ্গে থাক!”
- পুলিশের নতুন পোশাক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দেখে হাসবে: “চিনতে পারছ না? আমিও চিনি না – আমি তো ফ্রি!”
- হ্যাপি এন্ডিং: ধরা পড়ে চিড়িয়াখানায় ফিরে, কিন্তু এবার ‘অ্যাডভাইজার’ – সংস্কারের নামে খাঁচা বদল!

