পুলিশ এর নতুন পোশাক পরিধান করে নিজেকে চিনতে পারছেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশের নতুন পোশাক পরে নিজেকে চিনতে পারছেন না – আয়নায় দেখে বললেন, “আরে, এটা তো আমি না

ঢাকা, ৪ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০ | বিশেষ প্রতিবেদক (যে আসলে পুলিশের পুরনো ইউনিফর্ম পরে লুকিয়ে থাকে)

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সকালে পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম পরে সচিবালয়ের আয়নায় দাঁড়িয়ে হতভম্ব। “আরে বাপরে, এটা কে? আমি তো সেনা অফিসার, কিন্তু এখন দেখছি রয়েল ব্লু রঙে জড়ানো একটা ‘শাপলা ফুলের ফ্যান্টম’! নিজেকে চিনতেই পারছি না!” – এমনই একটা ‘মনোবল বুস্টিং’ মুহূর্তের গল্প ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সত্যি কি? বালের কণ্ঠের তদন্তে জানা গেছে, এটা পুরোপুরি সত্যি নয় – কিন্তু প্রায় সত্যি! নতুন পোশাকের ‘ম্যাজিক’ এমন যে, উপদেষ্টা সাহেব নিজেই বলেছেন, “পোশাক বদলে মানসিকতা বদলাবে” – কিন্তু প্রথমে নিজের মানসিকতা বদলে গেছে!

ঘটনার সূত্রপাত: নতুন পোশাকের ‘ফ্যাশন শো’ থেকে ‘আইডেন্টিট ক্রাইসিস’

জানুয়ারি মাসে (হ্যাঁ, ২০২৫-এর শুরুতে) আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে ১৮টা ডিজাইনের মধ্যে থেকে পুলিশের জন্য ‘আয়রন গ্রে’, র‍্যাবের জন্য ‘রয়েল ব্লু’, আনসারের জন্য ‘জলপাই’ রঙের পোশাক চূড়ান্ত হয়। লোগোয় শাপলা ফুল, ধান-গমের শীষ, পাটপাতা – মানে, পুরোটা একটা ‘গ্রিন বাংলা ফ্যাশন’! স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, “এতে মনোবল বাড়বে, দুর্নীতি কমবে।” কিন্তু আজ সকালে উপদেষ্টা সাহেব নিজে পোশাকটা ট্রায়াল করে দেখলেন – আর শুরু হলো কনফিউশন!

সূত্র বলছে, সচিবালয়ের কনফারেন্স রুমে একটা ‘প্রাইভেট ফ্যাশন শো’ চলছিল। উপদেষ্টা সাহেব পুলিশের নতুন শার্ট-প্যান্ট পরে দাঁড়ালেন, তারপর আয়নায় দেখে চেঁচিয়ে উঠলেন: “এটা কী? আমার সেনা ইউনিফর্মের সঙ্গে মিলছে না! এখন যদি র‍্যাবের লোক দেখে, ভাববে আমি তাদের নতুন ‘ব্লু বয়’!” পাশে দাঁড়ানো আইজিপি চোখ কপালে তুলে বললেন, “স্যার, এটা তো ‘মানসিকতা চেঞ্জ’ এর প্রথম ধাপ – আপনি এখন পুলিশের ‘অ্যানোনিমাস অ্যাডভাইজার’!”

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: পোশাক বদল, কিন্তু ‘চিনতে না পারা’ কেন? ৫টা থিওরি

নতুন পোশাকের আইডিয়া এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংস্কার ড্রাইভ’ থেকে। আগস্ট ২০২৪-এ তৎকালীন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন শুরু করেছিলেন, কিন্তু জানুয়ারিতে জাহাঙ্গীর সাহেব চূড়ান্ত করলেন। কিন্তু কেন উপদেষ্টা সাহেব নিজেকে চিনতে পারছেন না? বালের কণ্ঠের তদন্তে:

1. ‘কালার ক্ল্যাশ’: পুরনো সেনা ইউনিফর্মের ‘খাকি’ থেকে ‘রয়েল ব্লু’-তে চলে গেলে মনে হয়, “আমি কি এখন ‘ব্লু বেরি’ না ‘পুলিশ বেরি’?”

2. লোগোর ম্যাজিক: শাপলা ফুল দেখে ভাবলেন, “এটা তো আমার বাড়ির বাগানের ফুল! আমি কি এখন ‘ফ্লোরাল পুলিশ’?”

3. মানসিকতা চেঞ্জের সাইড ইফেক্ট: উপদেষ্টা বলেছিলেন, “পোশাক বদলে মন বদলাবে” – কিন্তু প্রথমে নিজের মনটা বদলে গেল, এখন ভাবছেন, “আমি কি সত্যি পুলিশের বস?”

4. পুলিশের প্রতিক্রিয়া: পুলিশরা নিজেরাই ক্ষুব্ধ – “এটা কী পোশাক? আমরা তো এখন ‘গ্রিন পিস’ এর মতো লাগছি!” উপদেষ্টা সাহেব দেখে আরও কনফিউজড।

5. গোপন কনস্পিরেসি: আসলে এটা ‘অ্যান্টি-রেকগনিশন’ ডিজাইন – যাতে পুলিশরা নিজেদের মধ্যে চিনতে না পারে, তাই দুর্নীতি কমবে! (জোক, কিন্তু কে জানে?)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *