এবার আলোচনার কেন্দ্রে ডাকসুর সদস্য রাফিয়া। ঘটনার সূচনা এক নাটকীয় ভিডিও থেকে—গতকাল সংঘটিত পুলিশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বকালীন এক উত্তপ্ত মুহূর্তে রাফিয়ার মন্তব্য, “আমি কি আঙ্গুল চুষব?” ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
ঘটনার নাটকীয় বাঁক আসে ঠিক এরপর। পুলিশকে “সহজ কাজ করতে দেননি” এমন অভিযোগে রাফিয়াকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু এর চেয়েও বড় ঝড় ওঠে ফেসবুকে—যেখানে সবাই তার নাম বিকৃত করে খুঁজে নিয়েছে এক নতুন পরিচয়: “সালিরবেটি রাফিয়া”! শব্দটির উৎপত্তি নাকি এক জনপ্রিয় মন্তব্য থেকেই—”কোন শালির বেটি থেকে কম নয় রাফিয়া!”
ফলাফল? এখন নাকি “সেলিব্রেটি” শব্দটি ভুলেও কেউ মৌলিক অর্থে ব্যবহার করতে সাহস পাচ্ছে না। সবাই বলছে, “ওই যে নতুন সালিরবেটি!” এমনকি ঢাকার কয়েকটি নামি ক্যাফেতে নাকি নতুন কফির নামও উঠে এসেছে—“সালিরবেটি ক্যাপুচিনো”!
যোগাযোগর বিশেষজ্ঞদের মতে, এ এক অভিনব সাংস্কৃতিক ফেনোমেনন—যেখানে ব্যঙ্গ, ক্ষোভ ও বিনোদন একসঙ্গে গলে যায় সামাজিক মাধ্যমে। কেউ বলছেন, “রাফিয়া রাক্ষসী”; কেউ বলছেন, “রাফিয়া ক্ষমতার প্রদর্শন করে ভাইরাল হতে এসেছেন”; কিন্তু কেউই বিতর্কের বাইরে যেতে পারছেন না। জাতীয় পর্যায়ের বিশ্লেষকরা এটাকে ২০২৪ এর দাঙ্গার প্রতীক বলছেন।
রাফিয়া অবশ্য এখনো নিজস্ব ফেসবুকে চুপ। কেউ কেউ বলছেন, তিনি হয়তো নতুন কোনো বিবৃতি বা হয়তো নতুন হ্যাশট্যাগ তৈরির প্রস্তুতিতে আছেন।
“রাফিয়া শুধু আইন লঙ্ঘন করেননি, পুলিশকে হেনস্থা করেছেন।” আর বিরোধীরা বলছেন, “এ শুধু হেনস্থা নয়, আচরণবিধির বিপরীতে দাঁড়ানো এক ক্ষমতার প্রদর্শনী।”

