দেশে এখন আলোচনার শীর্ষে এক নতুন অর্থনৈতিক দর্শন—“বন্দর বিক্রি ও কটকটি তত্ত্ব।” আর এই তত্ত্বের অগ্রদূত? সর্বজনপ্রিয়, সর্ববিতর্কিত, সদা-মুকুটধারী সুদি মহাজন—ড. ইউনুস। সামাজিক মাধ্যমে দুনিয়া এখন সরগরম এই খবর নিয়ে যে, দেশের জনগণের মতামত তো দূরে থাক, নিজের অফিসের কেয়ারের সাথেও নাকি পরামর্শ না করেই তিনি দুটি প্রধান বন্দর বিক্রি করে দিয়েছেন! আর তার বিনিময়ে পাওয়া অর্থে এখন সগর্বে বসে কটকটি চিবোচ্ছেন—যেন এই দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎও তাঁর দাঁতের ফাঁকে লেগে আছে।
অর্থনীতিবিদেরা রীতিমতো বিপাকে। কেউ বলেন, “এ এক নতুন ধারা—সম্পদ বিক্রি করে মিষ্টিতে বিনিয়োগ!” আবার কেউ বলেন, “এ নীতি নয়, নিছক মিষ্টানীতি!” সাধারণ জনগণ অবশ্য বিষয়টা দেখছে তামাশা ও ক্ষোভের মিশেলে। কেউ ফেসবুকে লিখছেন, “বন্দর গেল, এখন হয়তো বিমানবন্দর যাবে; বদলে লালমোহনে ঝালমুড়ি খাওয়া উৎসব হবে!”
সরকারিভাবে কেউ মুখ না খুললেও সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎসব যেন বাঁধনছাড়া। এক মজার ট্রেন্ডও শুরু হয়েছে—#কটকটিগেট। কেউ পোস্ট দিচ্ছেন হাতে কটকটির ছবি দিয়ে লেখছেন, “দেশের অর্থনীতি চিবিয়ে ফেলবো না ভাই, শুধু একটু মিষ্টি খাবো।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জনগণের অভিপ্রায়ের তোয়াক্কা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া জাতির সঙ্গে এক বিরাট ঠাট্টা। “স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি নানা ধরনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা—পাঁচ বছর, দশ বছর, পচিশ বছর। কিন্তু এবার এসেছে ‘এক কামড় পরিকল্পনা’, অর্থাৎ কটকটির কামড়েই পরিবর্তন!”
তবে ড. ইউনুসের সমর্থকরা বিষয়টিকে দেখছেন “দূরদর্শী রাষ্ট্রনীতি” হিসেবে। তাদের যুক্তি, “যেহেতু জনগণ সুখ চায়, তাই তিনি কটকটি দিয়ে সবকিছু মিষ্টি করে দিলেন।”
এদিকে গ্রামে-গঞ্জে এখন শিশুরাও নতুন ছড়া ধরেছে—
“ইউনুস কাকা বন্দর বেঁচে, কটকটি খান দিনে রেঁধে!”
সব মিলিয়ে দেশজুড়ে এখন এক অভিনব মিষ্টি অর্থনীতির যুগ চলছে। কেউ বুঝে হাসছে, কেউ না-বুঝে কটকটি চিবোচ্ছে। এক জিনিস নিশ্চিত—যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশ শিগগিরই ‘কটকটি এক্সপোর্ট হাব’ হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়ে যাবে।
কারণ বন্দর নেই, কিন্তু বুদ্ধি ও ব্যঙ্গ—সেটা এখনও অক্ষয় সম্পদ!

