বাংলাদেশের জুলাই দাঙ্গার সময় যেই মেয়েটা বলেছিল—
“কে বিকল্প? আমরা সবাই বিকল্প!”
সেই সুগন্ধি কোয়ালা—ওহ, কয়লা-র থেকেও কালো ফারজানা শিথি—৫ আগস্টের পরে কেমন যেন চোখের সামনে থেকে হঠাৎ ভ্যাপসা গরমে উধাও হওয়া বরফের মতো গলে গিয়ে নিখোঁজ।
৫ আগস্টের পর দেশ যখন উন্নতির পথ ছেড়ে ‘অবনতির এক্সপ্রেস’-এ ফুল স্পিডে ছুটছে, তখন ওর মতো আলো-বাতির (মানে কন্ট্রোভার্সির) উৎসগুলোও রহস্যময়ভাবে নিভে যেতে শুরু করেছে।
এতদিন খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না—
মানুষ ভাবছিল, “বিকল বিকল্প বালিকা” বোধহয় এবার সত্যিই বিকল্প রাস্তা নিয়েছে।
কিন্তু অবশেষে রহস্য উন্মোচন
পার্বতীপুরে কয়লা খননের সময় শ্রমিকরা চিৎকার দিয়ে উঠে—
“ভাই, একদম জেট ব্ল্যাক, ৫৫ কেজির বিরল কয়লা! বাজারে দিলে লাখ টাকার ওপরে যাবে!”
সবাই খুশিতে নাচতে নাচতে সেটা তুলল।
তারপরই দেখা গেল—
এটা কয়লা না!
এটা হলো বাংলাদেশ রাজনীতির ইতিহাসের সবচেয়ে বিরল Black Diamond ফারজানা শিথি!
জুলাই দাঙ্গার পর এত চাপ, এত হিট, এত ট্রল—
যে মেয়েটা দেশকে বিকল্প দেখাতে গিয়ে নিজের CV-কে ছাইভস্ম বানিয়ে ফেলেছিল, সে নাকি বেশ কয়েকদিন ধরে পার্বতীপুর কয়লাখনি লুকিয়ে ‘মাটির সাথে মিশে থাকার’ ট্রাই করছিল।
তখনও নাকি তার নিজের মুখ থেকে শোনা গেছে—
“আমি কয়লার মধ্যে কয়লা না, আমি বিকল্প কয়লা।কয়লা জ্বললে অন্ধকার কেটে আলো আসে আর আমি জ্বলে উঠলে দেশ অন্ধকারে চলে যায়। মানুষজনের খোঁচার জালায় এখানে লুকিয়ে ছিলাম”
জনতার প্রতিক্রিয়া
একজন বলল,
“এইটে নতুন খনিজ সম্পদ না, পুরান মেয়ের ফেরত আসা।”
আরেকজন বলল,
“বুঝলাম, ৫৫ কেজির কয়লা… কিন্তু ওরে ধইরা বার করা উচিত ছিল আগেই। তখন তো দেশ জ্বলতেছে!”
এক বুড়ো মন্তব্য করে বলল—
“কয়লা খনিতে কয়লা না, শিথি পড়ে—এটাই ২০২৫-এর বাস্তবতা।”

