ই-নুইচ্চার অনশন যাত্রা: সেফ এক্সিটের সেফটি পিন!


তারিখ: ৯ নভেম্বর, ২০২৫
ঢাকা থেকে রিপোর্ট: আমাদের অনশনহীন সাংবাদি

আজকের রাজনৈতিক ময়দানে একটা নতুন ড্রামা শুরু হয়েছে, যা দেখে আমাদের দেশের নেতারা তাদের পেটের চর্বি ঢেকে রাখতে শুরু করেছেন – না, না, অনশনের ভয়ে! আম জনতা পার্টির তারেক ভাই আজ ডঃ মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘এনুইচ্চা’ বলে ডেকেছেন, আর জিজ্ঞাসা করেছেন, “জুলাই দাঙ্গার সময় তুই কই ছিলি?” এই কথা শুনে ডঃ ইউনুস এতটাই ভয় পেয়েছেন যে, তিনি নিজেকে ‘ই-নুইচ্চা’ উপাধি দিয়ে সাজিয়ে, অনশনে নেমে পড়েছেন – শুধু সেফ এক্সিটের জন্য! ভাই, এটা রাজনীতি না, সার্কাসের নতুন অ্যাক্ট মনে হচ্ছে। নোবেল প্রাইজ জিতে কী লাভ, যদি একটা ‘তুই’ শুনে অনশন করতে হয়?

‘ই-নুইচ্চা’ – এটা কী? আমাদের সূত্রমতে (যা মূলত ফুচকা দোকানের গুজব), এটা ‘ইলেকট্রনিক নুইচ্চা’ মানে ই-কমার্সের মতো ই-নুইচ্ছা! অর্থাৎ, ডঃ ইউনুসের ইচ্ছা নেই রাজনীতিতে থাকার, তাই তিনি অনলাইনে অর্ডার দিয়েছেন সেফ এক্সিটের। তারেক ভাইয়ের ‘তুই কই ছিলি’ শুনে তিনি ভাবলেন, “আমি তো গ্রামীণ ব্যাংকে ছিলাম, কিন্তু এখন অনশনে যাই, না হলে পরের প্রশ্ন হবে ‘তুই কেন এখনও আছিস?'” ফলে, তিনি একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেই অনশনে নেমেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, অনশন করে সেফ এক্সিট পাবেন, না অনশন করে ওজন কমিয়ে নোবেলের পর আরেকটা প্রাইজ – ‘স্লিম অব দ্য ইয়ার’?

এই ঘটনা শুনে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে হাসির রোল পড়ে গেছে। একটা দলের নেতা (নাম গোপন, কারণ তার অনশনের অভিজ্ঞতা শূন্য) বলেছেন, “ডঃ ইউনুস অনশন করলে আমরা কী করব? চিপস খেয়ে সাপোর্ট দেব?” আরেকজন বললেন, “জুলাই দাঙ্গায় আমি ছিলাম ফ্রন্টলাইনে, কিন্তু এখন সেফ এক্সিট চাইলে অনশন করতে হবে? তাহলে তো আমাদের পার্টির সবাই অনশনে নামবে – শুধু খাবারের খরচ বাঁচাতে!”

ডঃ ইউনুসের এই অনশন প্ল্যান কীভাবে চলবে? আমরা একটা সম্ভাব্য টাইমটেবিল তৈরি করেছি:

  • প্রথম দিন: শুধু পানি আর প্রেস কনফারেন্স – “আমি ই-নুইচ্চা, সেফ এক্সিট চাই!”
  • দ্বিতীয় দিন: তারেক ভাইয়ের ফোন চেক করা, যদি আরেকটা ‘তুই’ আসে, তাহলে অনশন দ্বিগুণ।
  • পঞ্চম দিন: গ্রামীণ ব্যাংকের লোন দিয়ে অনশনের জন্য টেন্ট কেনা।
  • দশম দিন: সেফ এক্সিট না পেলে, অনশন থেকে উঠে নতুন বই লেখা – ‘অনশন থেকে সেফ এক্সিট: একটা নোবেল গল্প’!

ডঃ ইউনুসের এই অনশন যদি সফল হয়, তাহলে রাজনীতিতে নতুন ট্রেন্ড আসবে – ‘অনশন ফর এক্সিট’! কিন্তু যদি না হয়, তাহলে অন্তত তিনি প্রমাণ করবেন যে নোবেল জিতলেও ‘তুই’ শুনে ভয় পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *