নির্বাচন করার মত টাকা নেই ডলারের ভালো রেট পেলে ভাঙ্গাবো- আসিফ মাহমুদ

যেখানে ডলারের রেট পরিবর্তনশীল, কিন্তু রাজনীতির খরচ স্থায়ীভাবে লুটেরা
দিনকারণ: ৫ নভেম্বর, ২০২৩

নির্বাচনের টাকা নেই, ডলার ভাঙ্গাবো ভালো রেটে: আসিফ মাহমুদের ‘জুলাই ডলার ড্রামা’! বিদেশি সংস্থার ‘আন্দোলনী উপহার’ দিয়ে রাজনীতির বাজার গরম প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকের কলামে আমরা একটা এমন গল্প নিয়ে কথা বলব, যা রাজনীতির চেয়ে বেশি ব্যাঙ্কিং এবং আন্দোলনের চেয়ে বেশি ফরেক্স ট্রেডিং-লাইক। না, এটা কোনো নতুন ‘ক্রিপ্টো-ক্যাম্পেইন’ নয়—যেখানে জুলাই দাঙ্গার অন্যতম কুশলী (মানে, দাঙ্গা-দক্ষ লিডার) আসিফ মাহমুদ সাহেব নির্বাচনে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য লক্ষ টাকার সংকটে পড়েছেন। কিন্তু চিন্তা নেই! তাঁর পকেটে জুলাই আন্দোলনের সময় বিদেশি সংস্থা থেকে পাওয়া ডলারের স্তূপ আছে। তিনি বলছেন, “ভালো রেট পেলে ভাঙ্গাবো—নির্বাচন তো অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু ডলারের রেট না!” ফলে, সারা দেশে প্রশ্ন উঠেছে: এই ডলার কি ‘আন্দোলনের অ্যাওয়ার্ড’ ছিল, নাকি নির্বাচনের ‘প্রি-ফান্ড’?


কল্পনা করুন সেই প্রেস কনফারেন্সের দৃশ্য: আসিফ সাহেব একটা পুরনো ডলারের বান্ডিল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে, চোখে একটা ফরেক্স অ্যাপ খোলা। “দেখুন, জুলাইয়ের দাঙ্গায় আমি তো কুশলী ছিলাম—রাস্তায় লাঠি, পিছনে বিদেশি সংস্থার ডলার। তারা বললো, ‘ভাই, আন্দোলন চালাও, ডলার দিচ্ছি।’ এখন নির্বাচনের লক্ষ টাকা চাই, কিন্তু টাকা নেই। তাই অপেক্ষা করছি—যদি ডলার ১১০ টাকায় উঠে, তাহলে ভেঙে পোস্টার কিনবো!” জার্নালিস্টরা চিৎকার করে উঠলো: “তাহলে কি আন্দোলন ছিল ডলার-হান্টিং?” আসিফ সাহেব হেসে বললেন, “আরে, আন্দোলন তো সবসময় লাভজনক নয়। কিন্তু বিদেশি ডলার? সেটা তো গোল্ডেন টিকিট—ভালো রেটে ভাঙলে নির্বাচন জিতবো, খারাপ রেটে? তাহলে আবার দাঙ্গা!” (আর যদি রেট আরও নামে? তাহলে আসিফ সাহেব বলবেন, “ডলার রাখছি—এটা তো আমার ‘রিটায়ারমেন্ট ফান্ড’। নির্বাচন পরের বার!”) আর এই ‘ডলার ড্রামা’র পিছনে আসল গল্পটা তো আরও মজার। শুনুন: জুলাই আন্দোলনের পর আসিফ সাহেবের বাড়িতে একটা নতুন ‘ডলার-ভল্ট’ তৈরি হয়েছে। ভিতরে লেখা ‘বিদেশি উপহার: আন্দোলন অ্যাডভান্স’—যেখানে ডলারের স্তূপের পাশে একটা চার্ট ঝুলছে। উপরে লেখা ‘রেট ইনডেক্স’—যেখানে নির্বাচনী খরচ মাপা হয় ডলারের রেটের মতো। দাঙ্গায় অংশ নিলে +১০০ ডলার, বিদেশি সংস্থার ফোন এলে +৫০, কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে খরচ হলে -২০০ (কারণ লক্ষ টাকা তো টাকায়, ডলারে নয়!) ফলে, গত সপ্তাহে রেট ১০৮-এ নেমে যাওয়ায় আসিফ সাহেবের টুইট: “অপেক্ষা করছি।

ডলার ভালো রেটে ভাঙলে নির্বাচন, না হলে জুলাই ২.০!” জনগণের কমেন্ট: “ভাই, তোমার কুশলীত্ব তো ডলার-হান্টিং-এ—রাজনীতিতে কি ভাঙ্গবে?” কিন্তু পাঠকবৃন্দ, এই ডলার-অপেক্ষার সত্যিকারের উদ্দেশ্য কী? নির্বাচন জেতা নয়—এটা তো নতুন ‘আন্দোলন-টু-পলিটিক্স’ কনভার্শন রেট! কল্পনা করুন নির্বাচনের সময়: প্রত্যেক প্রার্থীকে একটা ‘ডলার মিটার’ দেওয়া হবে। আসিফের মতো বলা হবে, “ভালো রেট পেলে ভোট ভাঙ্গো—না হলে দাঙ্গা!” আর যদি কোনো অপোজিশন লিডার বলে, “আমার টাকা স্থায়ী!”—তাহলে উত্তর: “ভাই, স্থায়ী টাকা তো শুধু ব্যাঙ্কে। রাজনীতিতে ডলার-পরিবর্তনশীল হোন, না হয় বিদেশি সংস্থা তোমাকে ‘কুশলী’ বলে ডলার দেবে—উল্টোদিকে!” ফলে, সারা দেশে নতুন ট্রেন্ড: ‘ডলার-ডে’—যেখানে সবাই ফরেক্স অ্যাপ খুলে বলবে, “আজ রেট চেক, কাল নির্বাচন—ভাঙ্গো!” এখন প্রশ্ন হলো, এই ডলার কি সত্যি ভাঙ্গা যাবে? আমার মতে, হ্যাঁ—কিন্তু উল্টোদিকে। রেট উঠলে আসিফ সাহেব নির্বাচন জিতবেন, কিন্তু জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে। “বিদেশি ডলার বন্ধ করো—দাঙ্গার টাকায় নির্বাচন চালাবে?” বলে স্লোগান দেবে। আর আসিফ? তিনি বলবেন, “দেখো, আমার অপেক্ষা কতটা প্রভাব ফেললো! এখন ভোট দাও, না হয় রেট আরও নামিয়ে দেব—শূন্য ডলারে!” শেষ কথা: প্রিয় পাঠক, যদি আপনারও পকেটে বিদেশি ডলার থাকে, তাহলে চিন্তা করবেন না। এটা তো শুধু আসিফের জন্য নয়—এটা জীবনের সব ‘আন্দোলনী অ্যাসেটের’ জন্য। যেমন, প্রতিশ্রুতি। সেগুলোও তো ডলারের মতো—ভালো রেটে ভাঙলে লাভ, খারাপে? দাঙ্গা! তাই, রেট চেক করুন, হাসুন, আর ভাবুন: আসিফ যদি ডলার ভাঙ্গাতে পারেন, তাহলে পরের আবিষ্কার কী? হয়তো ‘নির্বাচনী ফরেক্স’—যাতে ভোটের রেটে টাকা ভাঙ্গা যায়… বা না যায়! **ডলার-ডিটেকটিভ ডালাল** *

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *